বরিশাল রিপোর্টঃ কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুসলমানদের আধ্যাত্বিক মহা মিলনমেলা ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক ফাল্গুনের মাহফিল আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। এদিন বাদ জোহর আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ঐতিহাসিক এ মাহফিল।
মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় এ দিনে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি বাদ জোহর শুরু হওয়া এ ঐতিহাসিক আধ্যাত্বিক মিলন মেলা ২৭ শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে।
উদ্বোধনী বয়ান সহ তিন দিনে মূল বয়ান হবে সাতটি। তন্মধ্যে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই পাঁচটি বয়ান এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই দুইটি বয়ান করবেন। এছাড়াও জুমার পূর্বে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমসাময়িক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান রাখবেন শায়েখে চরমোনাই।
মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দেওবন্দ ও নদওয়াতুল ওলামা এবং তুরস্ক থেকে শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মাহফিলে পাঁচটি মাঠে প্রায় পৌনে এক কোটি মুসল্লিদের শৃংখলার জন্য অর্ধলক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে।
এছাড়াও মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে হতে অসুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে একশত শয্যা বিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল। এখানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। তন্মধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।